২৪খবরবিডি: 'দেশে-বিদেশে সকল প্রকার লেনদেনের স্বয়ংক্রিয় তথ্য আদান-প্রদান সহায়ক 'কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড' (সিআরএস) অবলম্বন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।'
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) টিআইবি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মোকাবিলায় আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের উদ্যোগ স্বাভাবিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হলেও, প্রযোজ্য সুদসহ ঋণ পরিশোধের বোঝা পুরোটাই জনগণের ওপর পড়বে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ বিনা খরচে কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বৈদেশিক ঋণের বহুগুণ বেশি অর্থ বাৎসরিক ও টেকসইভাবে উপার্জন করার পথ সরকারের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মোকাবিলায় আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের উদ্যোগ স্বাভাবিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুদসহ এ ধরনের ঋণ পরিশোধের বোঝা পুরোটাই জনগণকে বইতে হয়। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, আর্থিক সংকট, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রমবর্ধমান ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক ঋণ সহায়তাসহ অন্যান্য চলমান উদ্যোগসমূহ জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে কি-না! অর্থাৎ জনগণের ওপর ঋণের বোঝা না বাড়িয়ে বিকল্প উপায় অবলম্বনের পথ বিবেচনা করা রয়েছে কি-না!
-উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ওইসিডির উদ্যোগে প্রণীত এবং ২০১৭ সাল থেকে কার্যকর ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দেশে-বিদেশে সকল প্রকার লেনদেনের স্বয়ংক্রিয় তথ্য আদান-প্রদান সহায়ক কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস) এর মাধ্যমে
সকল প্রকার অর্থপাচার রোধে সিআরএস পদ্ধতিতে লেনদেনের আহ্বান টিআইবি'র
বাংলাদেশের প্রতিবেশী একাধিক দেশসহ বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশ তাদের দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থানরত নাগরিকদের সকল প্রকার ব্যাংকিং ও আর্থিক লেনদেনের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবীক্ষণ করছে।